মাইক্রোকম্পিউটার হল এমন এক ধরনের কম্পিউটার যেখানে একটি মাইক্রো প্রসেসর সিপিইউ হিসেবে কাজ করে। মেইনফ্রেম কম্পিউটার এবং মিনি কম্পিউটারের তুলনায় এটি ছোট আকারের হয়ে থাকে।
মিনিকম্পিউটারের সূচনার পর মাইক্রোকম্পিউটার ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।মিনিকম্পিউটারের অনেক আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশের পরিবর্তে মাইক্রোকম্পিউটারে ব্যবহার শুরু হয় মাইক্রোচিপের।
মাইক্রোপ্রসেসর এবং সেমিকন্ডাক্টর মেমোরীর মূল্য ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ায় মাইক্রোকম্পিউটারের মূল্য হ্রাস পেতে থাকে। যার ফলে এটি ব্যবহার করা সবার জন্য সহজ হয়ে উঠে।
এছাড়াও অন্য যে সব কারণে মাইক্রোকম্পিউটার জনপ্রিয় হয়ে উঠে সেগুলো হলো:
-
অত্যন্ত কম দামের ৭৪০০ সিরিজের চিপের কারণে কিবোর্ডের মত ইনপুট যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব হয় যা ব্যবহারকারীরা সহজেই গ্রহণ করে।
-
স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য অডিও ক্যাসেটের ব্যবহার করা হয়, যা পূর্বের কম্পিউটারের ন্যায় প্রতিবার চালুর হওয়ার পর পুনরায় তথ্য প্রদানের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।
-
RAM এর দাম কমে যায় এবং ভিডিও প্রদর্শনী ব্যবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হয়।
এ সকল কারণে মাইক্রোকম্পিউটার ১৯৭০ এবং ১৯৮০'র দশকে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অনেক কম্পিউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছোট ছোট ব্যবসায়ীক প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে মাইক্রোকম্পিউটার বাজারজাত করা শুরু করে। ১৯৭৯ সালে বিভিন্ন নামকরা কোম্পানি হিসাব সংরক্ষন, তথ্য ব্যবস্থাপনা, মুদ্রন ইত্যাদি ব্যবসায়ীক প্রয়োজনীয়তার মেটানোর জন্য কম্পিউটারের সিস্টেম ডিজাইন করে। যার কারণে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মিনিকম্পিউটার ক্রয় করার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়।
মাইক্রোকম্পিউটারের এ জনপ্রিয়তা অনেক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। সময়ের চাহিদায় এ ধারা অব্যাহত থাকে। যা কারণে মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য নিত্য নতুন সফটওয়্যার তৈরি হতে থাকে।