তারাবি নামাজ হচ্ছে এ রমজান মাসে এশার সালাতের ফরজ চার রাকাত সুন্নত দুই রাকাত পড়ার পর এবং বেতের নামাজের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ নিয়ত করে, এভাবে চার রাকাত সম্পন্ন করে মুনাজাত এবং দোয়া পাঠ করে, একই রকম ভাবে ২০ রাকাত পর্যন্ত যে নামায আদায় করা হয় তাকে তারাবি নামাজ পড়া হয়।
তবে আপনারা একসাথে 20 রাকাত নামাজ বিশ্রামহীন ভাবে পড়তে পারেন কিন্তু বিশ্রাম নিয়ে 20 রাকাত সালাত আদায় করলে সওয়াব বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি তারাবি শব্দের অর্থ জানেন? না জেনে থাকলে আমরা আপনাদের কে জানিয়ে দিচ্ছি।
তারাবি শব্দের মূল ধাতু হচ্ছে “রাহাতুল”। আর এই রতন শব্দের অর্থ হচ্ছে আরাম করা। শরীয়ত মতে প্রতি চার রাকাত নামাজ আদায় করার পর কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম করে নেওয়া খেয়ে তারাবি নামাজ বলা হয়।
তারাবি নামাজের ফজিলত এবং মর্যাদা সম্পর্কে আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে পূর্ণ লাভের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, সে ব্যক্তির অতীত কিতাবগুলো ক্ষমা করা হয়।” (বুখারী এবং মুসলিম)।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বাণীতে বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইমনের সঙ্গে সওয়াব লাভ করার আশায় রোজা রাখেন এবং তারাবি নামাজ পড়েন, সেইসাথে কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর এবাদত করেন তার জীবনে আগের সব গুনাহ মাফ করা হবে।” (বুখারী এবং মুসলিম)।