95 views
in সাধারণ by

1 Answer

1 like 0 dislike
by
কোনো ব্যক্তি যদি রমজানুল মোবারকে অসুস্থ হয়ে যায় অথবা সফরে থাকে তাহলে তার জন্যে কী করণীয় আর কেউ যদি রমজানে রোযা রাখতে মোটেও সক্ষম না হয় সে ব্যাপারে ইসলাম কী বলেছে এর উত্তর আমরা সুরা বাকারার ১৮৪ নাম্বার আয়াতে পাই। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ٍ ٍﺮَﻔَﺳ ٰﻰَﻠَﻋ ْﻭَﺃ ﺎًﻀﻳِﺮَّﻣ ﻢُﻜﻨِﻣ َﻥﺎَﻛ ﻦَﻤَﻓ َﺮَﺧُﺃ ٍﻡﺎَّﻳَﺃ ْﻦِّﻣ ٌﺓَّﺪِﻌَﻓ ۚ “কোনো ব্যক্তি যদি অসুস্থ থাকে অথবা সফরে থাকে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। অর্থাৎ যে কয়দিন অসুস্থ থাকবে, অসুস্থ থাকার কারণে রোজা রাখতে সক্ষম হয়নি অথবা সফরে থাকার কারণে রোজা ভেঙে ফেলেছে তার জন্যে করণীয় হল, রমজানের পরে আগামী রমজান আসার আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় সেই রোযাগুলো কাযা করে নেয়া। এরপর আল্লাহ তা’আলা বলছেন ُﻡﺎَﻌَﻃ ٌﺔَﻳْﺪِﻓ ُﻪَﻧﻮُﻘﻴِﻄُﻳ َﻦﻳِﺬَّﻟﺍ ﻰَﻠَﻋَﻭ ٍﻦﻴِﻜْﺴِﻣ “আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্যদান করবে।” এই আয়াতের তাফসীর হল, কোনো ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে অথবা শয্যাশায়ী রোগে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার কারণে রোজা রাখতে সক্ষম না হয় অর্থাৎ এমনভাবে অসুস্থ হয়েছে যে, এই রোগ থেকে আর মুক্তি পাওয়ার আর সম্ভাবনা দেখা যায় না বা প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী। তাহলে এধরণের লোকের ক্ষেত্রে ফিদিয়া দিতে হবে। আর তা হল, একটা রোযার বিনিময়ে একজন মিসকিনকে খাদ্যদ্রব্য প্রদান। অত্র আয়াতে আল্লাহ তা’আলা স্পষ্টভাবে বলেছেন: ٍﻦﻴِﻜْﺴِﻣ ُﻡﺎَﻌَﻃ ٌﺔَﻳْﺪِﻓ “একজন অসহায় মানুষকে খাদ্যদ্রব্য ফিদিয়া দিবে।” খাদ্যদ্রবের পরিমাণ কতটুকু এই মর্মে সম্মানিত মুফাসসির ও ফকীহগণ উল্লেখ করেছেন যে, প্রত্যেক দেশে প্রচলিত প্রায় সোয়া কিলো পরিমান প্রধান খাদ্যদ্রব্য। অর্থাৎ যে সমাজে যে খাবারটা প্রধান খাবার হিসেবে প্রচলিত রয়েছে সেটা প্রায় সোয়া কিলো পরিমাণ দিলেই একজন মিসকিনের একবেলার খাদ্য হিসেবে যথেষ্ট হবে।

Related questions

20,792 questions

22,887 answers

675 comments

1,448 users

Categories

...