ভিপিএন (VPN) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে virtual private network (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক)। প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এর বিষয়টি দেখে আপনি ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন যে এটিতে কোন নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা রয়েছে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন একটি এনক্রিপশন প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। ভিপিএন ভালো এবং খারাপ দুই ধরনের মানুষই ব্যবহার করে থাকে। এখানে খারাপ বলতে হ্যাকারদের কথা বুঝানো হয়েছে। এছাড়া খারাপ মানুষের তালিকায় থাকতে পারে বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে ভিজিট করা লোকদের কথা।
ভালো মানুষদের ভিপিএন ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজের ব্যক্তিগত কোনো তথ্য যাতে third-party কারো কাছে চলে না যায়। হ্যাকাররা এটি ব্যবহার করে মূলত সে যা করছে সেটি যেন ভিপিএন এবং সে ছাড়া আর কেউ না জানে। এখানে দুই ধরনের মানুষই মূলত গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করে থাকে। ভিপিএন এনক্রিপশন প্রক্রিয়ায় ডেটা আদান-প্রদান করার জন্য সবাই ব্যবহার করে থাকে।
ভিপিএন কেন ব্যবহার হয় এটি বুঝাতে আপনাকে ছোট একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। ইন্টারনেটে ধরুন আপনি কোন ভিডিও দেখবেন। এজন্য আপনি ইউটিউবের সেই ভিডিওতে ক্লিক করার পর আপনার সেই রিকোয়েস্টটি চলে যাবে আইএসপি এর কাছে। এক্ষেত্রে আপনার আইএসপি হতে পারে কোন টেলিকম কোম্পানি অথবা আপনি যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে সেই আইএসপি।
আপনি যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন সেটি কিন্তু আইএসপি এর অধীনে ব্যবহার করা হয়। আপনার অনুরোধটি আইএসপি থেকে চলে যাবে ইউটিউব এর সার্ভারে। পরবর্তীতে সেই সার্ভার থেকে নেওয়া ডেটা অনুসারে আপনাকে কিন্তু ভিডিওটা দেখানো হবে। সার্ভার থেকে আইএসপি এবং আইএসপি এর কাছ থেকে আপনার কাছে সেই ভিডিওটি পৌঁছে যাবে। এভাবে করেই কিন্তু আপনি ইন্টারনেটের সকল তথ্যাবলী দেখতে পারেন। ইন্টারনেটের পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু এভাবেই কাজ করে থাকে। এটিতো গেল একটি সাধারন প্রক্রিয়া।