103 views
in সামাজিক বিজ্ঞান by

1 Answer

0 like 0 dislike
by

এগুলো হলো কোপেনহেগেন ব্যাখ্যা (Copenhagen Interpretation) ও বহু বিশ্ব তত্ত্ব (Many-World Thoery). বিজ্ঞানী নিল্স বোর কোপেনহেগেন ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তার বিবৃতি অনুসারে, সুনির্দিস্ট ভাবে একটি কণাকে (অথবা তরঙ্গ) কখনোই কোন নির্দিষ্ট বৈশিস্ট (যেমন, এটি কি কণা নাকি তরঙ্গ) কিংবা অবস্থা নির্ধারণ করে দেয়া যাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটাকে ঠিক মতো পরিমাপ করা হচ্ছে। বোর এর বিবৃতিকে অন্যভাবে বলা যায় যে আসলে বস্তুর বাস্তবিকতার কোনো অস্তিত্ব নেই। পরিমাপ করার আগ পর্যন্ত আমরা কখনই বলতে পারব না সেই বস্তুটি কি কণা নাকি তরঙ্গ। এর থেকে আমরা আরও একটি কথা বলতে পারি, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা বস্তুর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত সেটি যেকোনো অবস্থাতেই (কণা অথবা তরঙ্গ) থাকতে পারে। এটি superposition principle নামে পরিচিত।

বিষয়টিকে আর একটু বিশ্লেষণ করা যাক। এ প্রসঙ্গে শ্রুডিঞ্জার এর একটি বিখ্যাত থট এক্সপেরিমেন্ট (thought experiment) রয়েছে। এ পরীক্ষায় শ্রুডিঞ্জার একটি সীসার বাক্সের ভিতর একটি জীবন্ত বিড়ালকে কল্পনা করেন। এবার একটি শিশির ভিতর মরণঘাতী সায়ানাইড (cyanide) ভরে সেই শিশিটিকে বাক্সের ভিতর রেখে বাক্সটিকে বন্ধ করে দেয়া হলো। আমরা এখন জানি না বিড়ালটি কি আদৌ বেঁচে আছে নাকি শিশিটিকে ভেঙ্গে ফেলেছে এবং মারা গিয়েছে। যেহেতু আমরা জানি না সেহেতু বিড়ালটি জীবিত অথবা মৃত, একইসাথে যেকোনো অবস্থাতেই থাকতে পারে; কোয়ান্টাম বিধি অনুসারে যাকে বলা হচ্ছে সুপারপজিসন অবস্থা। আমরা যেই মুহুর্তে বাক্সটিকে ভেঙ্গে ভিতরে বিড়ালটির অবস্থা দেখবো, ঠিক তখনই বিড়ালটি জীবিত অথবা মৃত যেকোনো একটি অবস্থা ধারণ করবে এবং তখনই সুপারপজিসন অবস্থা বিনষ্ট হবে।

এবার কোয়ান্টাম তত্ত্বের দ্বিতীয় বিবৃতিতে আসা যাক, যাকে বলা হচ্ছে বহু বিশ্ব তত্ত্ব বা মাল্টিভার্স তত্ত্ব (multiverse theory). আমি এখানে সরাসরি বিবৃতিই উল্লেখ করে দিচ্ছি- as soon as a potential exists for any object to be in any state, the universe of that object transmutes into a series of parallel universes equal to the number of possible states in which that the object can exist, with each universe containing a unique single possible state of that object. কোনো বস্তু একই সাথে বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন মহাবিশ্বে থাকতে পারে (বস্তুর সম্ভাব্য প্রতিটা অবস্থাই, ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার সমান সংখ্যক মহাবিশ্বে উপস্থিত থাকবে) এবং সেইসব মহাবিশ্বের মাঝে বিদ্যমান মিথষ্ক্রিয়া প্রতিটা মহাবিশ্বেকেই প্রবেশযোগ্য করবে এবং প্রতিটা মহাবিশ্বকেই একই সাথে প্রভাবিত বা অনুরণিত করবে। স্টিফেন হকিং (Stephen Hawking) এবং রিচার্ড ফাইনম্যান (Richard Feynman) এর মতো বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্বের স্বপক্ষে রয়েছেন।

20,792 questions

22,887 answers

675 comments

1,448 users

Categories

...