চেয়ারে বসে নামায আদায়- মূলনীতি ও কিছু বিধান
ইসলাম শাশ্বত, সত্য, স্বভাবজাত ও বাস্তববাদী ধর্ম। ইসলামের প্রতিটি বিধান অত্যন্ত যৌক্তিক ও বাস্তবমুখী। চির সুন্দর,সহজ-সরল ও সর্বোপযোগী।
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হচ্ছে, নামাজ। আল্লাহপাক যা নবীজী (সা.) কে মেরাজের রাতে পুরস্কার হিসেবে দিয়েছিলেন। নামাজ মহান প্রভুর দরবারে দীনতা, নিয়ামতরাজির প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং তাঁর শাহী দরবারে বান্দার নানাবিদ চাহিদা পূরণের মিনতি জানানোর মাধ্যম। ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। তাই ঈমানের পরে, সকল ইবাদতের ঊর্ধ্বে তার স্থান। যে নামাজ কায়েম করল, সে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করল। আর যে নামাজ ধ্বংস করল, সে দ্বীন ধ্বংস করল। অর্থাৎ যার নামাজ ঠিক তার দ্বীন ঠিক। আর যার নামাজ বরবাদ তার দ্বীন বরবাদ। অতএব, যে ব্যক্তির নামাজ যত সুন্দর হবে, তার দুনিয়া-আখেরাতের জিন্দেগীও তত সুন্দর ও সফল হবে।
তবে নামাজের এ অসীম গুরুত্বের পাশাপাশি শরীয়তের আরেকটি মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। আর তা হচ্ছে, সকল ক্ষেত্রে সহজীকরণ। আল্লাহ পাক সাধ্যাতীত নির্দেশ দেন না, বরং যা সহজ তাই আল্লাহর নিকট প্রিয়।
ইরশাদ হয়েছে, لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا অর্থাৎ- “আল্লাহতাআলা সাধ্যের বাহিরে কোন দায়িত্ব কারও উপর চাপিয়ে দেন না”। -সূরা বাকারা : ২৮৬
ইরশাদ হয়েছে, يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ অর্থাৎ “আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিন করতে চান না”। -সূরা বাকারা : ১৮৫
অতএব, অবহেলা প্রদর্শন না করে নামাজের প্রতি পূর্ণ মর্যাদা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করা যেমন আবশ্যক, তার সাথে নামাজকে সাধ্যাতীত না করে, বরং সহজ করে দেখাও আবশ্যক। এ দুয়ের মাঝেই রয়েছে সীরাতে মুস্তাকীম।