203 views
in ইসলাম by

1 Answer

0 like 0 dislike
by

ভুলবশত কিংবা অন্য কোনো বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে এই নামাজ পরবর্তীতে আদায় করাকে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা তাহাজ্জুদ নফল নামাজ আদায় করা না গেলে কাজা আদায় করতে হয় না। এখন বিতর নামাজ কি কাজা পড়তে হয়? জনাব! কাজা পড়াই উত্তম। বিতরের সালাত নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। এটা কেউ বলেছেন ওয়াজিব, কেউ বলেছেন সুন্নাহ। এককথায় কাজা পড়াই উত্তম। জনাব! প্রচন্ড ঘুমের কারনে বিতর, ফজর আদায় করতে পারলে স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে নিতে হবে। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) আবূ কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সফরে ছিলেন। তিনি একদিকে মনোনিবেশ করলেন এবং আমিও তার সাথে মনোনিবেশ করলাম। অতঃপর তিনি বলেনঃ লক্ষ্য কর। তখন আমি বলি এই একজন আরোহী, এই দুইজন আরোহী, এই তিনজন আরোহী এইরূপে আমরা গণনায় সাত পর্যন্ত পৌছাই। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আমাদের ফজরের নামাজের প্রতি দৃষ্টি রাখ। অতঃপর রাবী বলেন যে, তাদের কান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল (সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিল) এবং রৌদ্রের তাপ গায়ে লাগার পূর্বে কেউই ঘুম হতে উঠতে পারেননি। ঘুম হতে বেলা উঠার পর জাগ্রত হয়ে তারা উক্ত স্হান ত্যাগ করে সামান্য দূর যাওয়ার পর অবতরণ করে অজু করেন। অতঃপর . বিলাল (রাঃ) আজান দেওয়ার পর তারা প্রথমে ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত, অতঃপর দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করে- উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর তারা পরস্পর বলাবলি করতে থাকেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় না করে গুনাহ্গার হয়েছি। এতদ্শ্রবণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামাজ কাযা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্হায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাযা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায় সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাজটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৪৩৭ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

Related questions

20,792 questions

22,887 answers

675 comments

1,448 users

Categories

...