22 views
in ইসলাম by
গোসল ফরজ হলে কোন কিছু খাওয়া যাবে কি না?

1 Answer

0 like 0 dislike
by
গোসল ফরজ হলে গোসল না করে চারটি কাজ করা নিষেধ ৷ যথা- ১) নামায পড়া, ২) তাওয়াফ করা, ৩) কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং ৪) মসজিদে গমণ করা নিষেধ। এছাড়া জিকির-আযকার করা, দরুদ শরীফ পড়া, ওযীফা পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া, ঘরের কাজ করা, পানাহার ইত্যাদি কোনো কাজই নিষেধ নয়। বহু হাদীসে এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে মদিনার কোন এক পথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখা হল। আবু হুরায়রা (রা.) তখন জানাবাতের গোসল ফরজ অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবু হুরায়রা (রা.) গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা ! কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করি নি। নবীজী বললেন, ﺲﺠﻨﻳ ﻻ ﻢﻠﺴﻤﻟﺍ ﻥﺇ ، ﻪﻠﻟﺍ ﻥﺎﺤﺒﺳ সুবাহানাল্লাহ্! মু’মিন নাপাক হয় না। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৯৷ তবে একেবারে নিষেধ না হলেও উল্লেখিত কাজগুলোর আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়া ও অজু করে করে নেয়ার কথা একাধিক হাদীসে এসেছে। যেমন- আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবাতের গোসল ফরজ অবস্থায় পানাহার কিংবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে নামাজের অজুর মত অজু করে নিতেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৫ উল্লেখ্য, ফরজ গোসল বিলম্বিত হওয়ার কারণে যদি নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে আপনাকে গুনাহগার হতে হবে। আপনার তীব্র লজ্জা এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কোনো ওজর নয়; যার কারণে নামায আদায়ে এ বি।লম্ব করা যেতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।

Related questions

20,792 questions

22,887 answers

675 comments

1,447 users

Categories

...