25 views
in ইতিহাস by
বঙ্গবন্ধু নয়া চীনে ভ্রমন করে সে দেশ সম্পর্কে কি ধারনা লাভ করেন?

1 Answer

0 like 0 dislike
by
‘অসমাপ্তবঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র পর তাঁর লেখা তৃতীয় বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৫২ সালে ‘পিস কনফারেন্স অব দি এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওনস’-এ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আগে ওই বছরই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। বঙ্গবন্ধুর চোখে দেখা চীনের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন, মিয়ানমারের জাতিগত সংঘাত, পূর্ববঙ্গের মানুষ যারা সংখ্যায় বেশি তাদেরকে কীভাবে বঞ্চনা করেছে পাকিস্তানের শাসক শ্রেণি, এ বইয়ে সেই ধারণাও পাওয়া যায়। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি পড়লে, আমরা যেমন চীন দেশকে জানতে পারি, আবার চমৎকার একটা ভ্রমণ কাহিনি—যা সে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদীতে নৌকা ভ্রমণ, রিকশায় ভ্রমণ, ট্রেনে ভ্রমণ আর আকাশপথ তো আছেই। সব ভ্রমণে তার হাস্যরসিকতা, প্রবীণ নেতাদের প্রতি দায়িত্ববোধ সবই জানা যায়। এই ভ্রমণ কাহিনি যতবার পড়েছি, আমার ততবারই মনে হয়েছে যে, তিনি (বঙ্গবন্ধু) গভীর পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে। তার কারণ হলো— তার ভেতরে যে সুপ্ত বাসনা ছিল বাংলার মানুষের মুক্তির আন্দোলন ও স্বাধীনতা অর্জন, সেটাই বারবার ফুটে উঠেছে আমার মনে, এ কথাটা অনুভব করছি।’ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ উদ্বোধনের পর বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কারাগারে খাতা সেন্সর করে দেওয়া হতো। সেই সেন্সরের সিল থেকে আমরা জানতে পারি এটি ১৯৫৪ সালে লেখা। মলাটটি অনেকটা চীনা অক্ষরের মতো করে লেখা। মনোগ্রামটি পিকাসোর তৈরি করা। ৫২ সালে যে শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু চীনে গিয়েছিলেন, পূর্ববঙ্গ থেকে প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে যাবার পথটি কীভাবে গিয়েছেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে।

Related questions

20,792 questions

22,887 answers

675 comments

1,448 users

Categories

...