বসে পেশাব করা মনবতার মুক্তির দূত, শান্তির দূত ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র সুন্নাহ্ তথা আদর্শ। তিনি যে আসলেই বিশ্ব জগতের জন্য একজন শান্তির দূত, রহমাতুল্লিল আলামীন তথা জগতবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ, তার প্রমাণ তিনি রেখে গেছেন তাঁর প্রতিটা চলনে, বলনে, কথনে, পদে পদে, অক্ষরে অক্ষরে। তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মিলছে আজ ১৪৫৬ বছর পরে এসেও। বিজ্ঞান তার স্বীকৃতি দিচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বীকার করে নিয়ে, আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মৌন স্বীকারের মাধ্যমে। মৌন স্বীকারের মাধ্যমে - কথাটা এভাবে বললাম এ কারণে যে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার যতগুলো বৈজ্ঞানিক উপায় রয়েছে, তন্মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর উপায় হচ্ছে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ অনুসরণের মধ্যে। এটা যদি বিজ্ঞান বৈজ্ঞানিকভাবে প্রকাশ করে তবে তো বৈজ্ঞানিকভাবেই ইসলামের মহত্ত্ব ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়! তা তো তারা প্রতিষ্ঠিত করতে নারাজ! এগুলোর মধ্যেই একটি হলো - বসে প্রস্রাব করার উপকারীতা ও দাড়িয়ে প্রস্রাব করার অপকারীতা। তারা আপনাকে দাড়িয়ে প্রস্রাব করার ক্ষতি ও বসে প্রস্রাব করার উপকারীতা অনেক শেখাবে, বুঝাবে, বলবে। কিন্তু ভুলেও তারা এটা বলবে না বা স্বীকার করবে না যে, বসে প্রস্রাব করার উপকারীতা ও বসে প্রস্রাব না করার যে ক্ষতি বিজ্ঞান আজ আবিষ্কার করেছে, তার শিক্ষা ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই ১৪৫৬ বছর আগেই দিয়ে গেছেন। এটা আসলে একান্তই তাদের ব্যর্থতা, নির্বুদ্ধিতা, জ্ঞানস্বল্পতা, মূর্খতা ও হিংসারই বরং প্রমান। এখন চলুন দেখি দাড়িয়ে প্রস্রাব করা ও বসে প্রস্রাব করা নিয়ে বিজ্ঞান কি বলছে। বেশিরভাগ পুরুষই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে শরীরের মারত্মক ক্ষতি হয়। দেখা দেয় একাধিক রোগের। যেমন-- দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপরের অংশে চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু স্বাভাবিক ভাবে বের হতে না পেরে শরীরের উপরের অংশে উঠে যায়। শরীরের অস্থিরতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার মত একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। বসে প্রস্রাব করলে মূত্রথলিতে চাপ পরে, প্রস্রাবের মধ্যে থাকা দূষিত পদার্থ শরীর থেকে সহজে বেরিয়ে যায়। কিন্তু দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলি মূত্রথলির নীচে গিয়ে জমা হয়, দেখা দেয় কিডনি-তে 'স্টোন'-এর সম্ভাবনা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন, তাঁদের ডায়াবিটিস, জন্ডিস বা কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাবের বেগ কমতে থাকে।