কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান লাভ করতে হলে সেটির সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলে।যেহেতু ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলা হয় সুতরাং আগে ডেটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।আসলে ডেটা হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর,সংখ্যা,চিহ্ন বা যে কোন কিছু হতে পারে।ডেটা সাধারণত কোন সুনির্দিষ্ট বা যথাযথ অর্থ প্রকাশ করে না।কিন্ত এই অগোছালো বা এলোমেলো ডেটাগুলোকে যৌক্তিক কোনো সিকোয়েন্স বা পরিসজ্জায় উপস্থাপন করলে তা একটি যথাযথ অর্থ প্রকাশ করবে যেখান থেকে কিছু সম্পর্কে জ্ঞান বা ধারণা অর্জন সম্ভব হবে।এটিকেই তথ্য বলা হয়।একটি তথ্যের দুইটি অংশ থাকতে হবে।এদের একটি হলো ডেটা ,যেটি আসলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বৈশিষ্টাবলির মান প্রকাশ করে এবং অপরটি হলো নলেজ বা জ্ঞান যা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সত্যিকার কি সে সম্পর্কে একটি ধারণা প্রকাশ করে।
তথ্য (INFORMATION) –
-
ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ অবস্থা পাওয়া যায় তাকে তথ্য বলে
-
তথ্য হলো প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা যা কম্পিউটারে আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়
-
সকল ডেটা তথ্য নয়
-
যে কোন তথ্য থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়
-
তথ্য সম্পূর্ণভাবে ডেটার উপর নির্ভরশীল এবং ডেটা ছাড়া তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা যায় না
-
কোন বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রের নাম,রোল নম্বর,সবগুলো বিষয়ের নম্বর এবং তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর এ সব কিছু একত্রে ছাত্রটির সুনির্দিষ্ট কোন ইনফরমেশন বা তথ্যকে নির্দেশ করে
উপাত্ত (DATA) –
-
অগোছালো অবস্থায় থাকা যে কোনো বর্ণ,চিহ্ন বা সংখ্যা এসব কিছুই হলো ডেটা
-
ডেটা হলো প্রক্রিয়াকরণের পূর্ব অবস্থা কম্পিউটারে যা ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়
-
সকল তথ্যই ডেটা
-
ডেটা কোনো কিছুর পূর্ণাঙ্গ বা অর্থবহ ধারণা দিতে পারে না
-
ডেটা তথ্যের উপর নির্ভর করে না
-
কোনো ছাত্রের ভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরগুলো পৃথক পৃথকভাবে ডেটার উদাহরণ হতে পারে